Posts

https://www.purusattom.com/

শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের সংক্ষিপ্ত দিব্য জীবনী ।শুভ ভাদ্র মাসের শ্রদ্ধার্ঘ্য

                * শুভ ভাদ্র মাসের শ্রদ্ধার্ঘ্য * শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের সংক্ষিপ্ত দিব্য জীবনী ।। ****************************                             (১ম পর্ব)                      ভগবানের আবির্ভাব নারী ও পুরুষ উভয়ের সংঘাতে যখন উভয়ে নিজ-নিজ বৈশিষ্ট্যে উদ্দাম ও অবাধ হয়, উভয়ের উভয়ের প্রতি আকর্ষণ যেখানে উভয়কে মূঢ় করিয়া না তুলিয়া উদ্বুদ্ধ হইয়া আদর্শে আপ্রাণ হইয়া ওঠে---তেমনতর প্রকৃতি ও পুরুষেই ভগবান মূর্ত্ত হইয়া আবির্ভূত হন, আর, জীব ও জগৎকে সংবৃদ্ধির পথে আকর্ষণ করিয়া অমৃতকে পরিবেশন করেন ! ১৮৪। (চলার সাথী)  যে প্রকৃতি ও পুরুষকে অবলম্বন করে বর্তমান পুরুষোত্তম ভগবান শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র আবির্ভূত হয়েছিলেন, এই ধরাধামে---সেই লীলা-কাহিনী বর্ণনা করার মত সাধ্য এবং সাধনা আমার নেই। তথাপি অপটু লেখনীতে বিধৃত করার চেষ্টা করলাম। লেখনীর ত্রুটি-বিচ্যুতি ধরিয়ে দিলে সহৃদয় পাঠকদের কাছে চিরঋণী থাকব।   * * * * * *                                                              * অবিভক্ত বাংলার পাবনা * শহরের কমবেশী তিন কি. মি. পশ্চিমে পদ্মার উত্তর তীরের জঙ্গলে প

পরমপ্রেমময় শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র বর্ণিত অনুশ্রুতি' গ্রন্থের প্রথম খন্ডের বাণী "শিল্প"

  সকল ইষ্টপ্রাণ ভাই-বোন দাদা-দিদিদের আমার রা-নন্দিত জয়গুরু। সবার জন্য একটি সুন্দর ভবিষ্যতের প্রত্যাশা রইলো পরমপিতার রাতুল চরণে--- শ্রী শ্রী ঠাকুরের কথা প্রসঙ্গ ও  বাণী র মাঝে আমারা আমাদের জীবনের  চলার পথ খুঁজে পাওয়া যায়। শ্রী শ্রী ঠাকুরের অমৃত সুধা মধ্যে দিয়ে মনোবিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান,দর্শনবিজ্ঞান সকল দিক নির্দেশনা দিয়েছেন।তাই আমরা যদি শ্রী শ্রী ঠাকুরের অমৃত বাণী গুলো মন দিয়ে পড় উচিত। আজকের অংশবিশেষ শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র বর্ণিত 'অনুশ্রুতি' গ্রন্থের প্রথম খন্ড থেকে নেওয়া।             বিষয় : শিল্প শ্রম ক'রে আয় যে-জন ধরে        সম্পদ তা'রে সেবা করে।১। খেটে-খুটে দিলে আয়       তবেই মানুষ অর্থ পায়।২। বিনিময়ে আয়ের অর্থ       যা' করবি তা'য় নিজের স্বত্ব।৩। আয় যা'করিস তা'র বদলে        কিনলে জানিস নিজের বলে।৪। কাজ না ক'রে যে-জন পায়        সেই পাওয়াতেই তা'রে খায়।৫। আয়ে খাটিয়ে দেয় না        লক্ষ্মীরে সে পায় না।৬। খাটে-খোটে লোকসান       মন্দ বুদ্ধি নিছক জান।৭। দেয় না আয়, কেবল চায়       শয়তানী তা'র পায়-পায়।         নমস্কার বন্ধুরা। আমার পোস্ট টির বা

শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র বর্ণিত অনুশ্রুতি' গ্রন্থের প্রথম খন্ডের বাণী "কৃষি"

 শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র বর্ণিত অনুশ্রুতি' গ্রন্থের প্রথম খন্ডের বাণী " কৃষি " সকল ইষ্টপ্রাণ ভাই-বোন দাদা-দিদিদের আমার রা-নন্দিত জয়গুরু। সবার জন্য একটি সুন্দর ভবিষ্যতের প্রত্যাশা রইলো পরমপিতার রাতুল চরণে--- আজকের অংশবিশেষ শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র বর্ণিত 'অনুশ্রুতি' গ্রন্থের প্রথম খন্ড থেকে নেওয়া।               বিষয় : কৃষি মালিকের কৃষি মালিকের খাজনা        দিতেই কৃপণ চৌর্য্য-মনা।৯। কৃষির খাজনা দিতে আপদ        গণেই চৌর্য্য-বিশারদ।১০। চোত-বোশাখের মাঝখানে কর      আশুব্রীহির বপন শেষ, খরা-ঝরা হোক না যেমন       প্রায়ই ফসল পাবি বিশেষ।১১।      ঝাড়ের তেজে বীজের গোঁ           ক্ষেত বুঝে তাই বীজটি রো।১২।    উর্ব্বরা নয় ক্ষেতটি যেথায়       সুবীজও কি ফলবে সেথায়?১৩।       যেমন বীজটি ফেলবি ক্ষেতে            পাবেও তাহা অঙ্কুরেতে।১৪।         ভালও যদি ফসল ক্ষেতের                হয়না তফাত বীজের জাতের।১৫।       ক্ষেতের গুণে বীজের বাড়           যেমনি বীজ তেমনি ঝাড়।১৬।         গজান গুণ থাকলে ক্ষেতের             হয় তা তফাৎ বীজের জাতের।১৭।        খাই-দাই-চলা ধানের ক্ষেত            

শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র বর্ণিত অনুশ্রুতি' গ্রন্থের প্রথম খন্ডের বাণী " সমাজ "

শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র বর্ণিত অনুশ্রুতি' গ্রন্থের প্রথম খন্ডের বাণী " সমাজ   সকল ইষ্টপ্রাণ ভাই-বোন, দাদা-দিদিদের আমার আন্তরিক জয়গুরু। সবার জন্য একটি সুন্দর ভবিষ্যতের প্রত্যাশা রইলো পরমপিতার রাতুল চরণে--- আজকের অংশবিশেষ শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র বর্ণিত 'অনুশ্রুতি' গ্রন্থের প্রথম খন্ড থেকে নেওয়া অমৃত বাণী।                                    বিষয়-: সমাজ                                    সব বৈশিষ্ট্যের স্বতঃ গতি        এক আদর্শে হ'লে, পারস্পরিক সুহৃৎ চলায়          সমাজ তা'কেই বলে।১। সমাজই তো উপচে উঠে           রাষ্ট্রে দীপ্তি পায়, বিধান-মাফিক সটান চলায়             বর্দ্ধনাতে ধায়।২। এক আদেশে চলে যা'রা           সমাজ গজায় জানিস্ তা'রা।৩।            ফের ওরে ফের ইষ্টদেবের              স্বার্থলাভে জীবন ব', ধন্য হ'বি, মান্য পাবি,        অমর সুধায় অমর হ'।৪। পূর্ব্বমহান স্বীকার ক'রে          পিতৃকৃষ্টি পূরণ যা'তে, উন্নতিতে ধরবি তাহা       বাড়বি তা'তে জাতির সাথে।৫।  পূর্ব্বতনের সূত্র ছিঁড়ে         আসুক নাকো যেই মহান, উন্মাদনা গেলেই ন

শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র বর্ণিত অনুশ্রুতি' গ্রন্থের প্রথম খন্ডের বাণী " জনন - নীতি "

  শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র বর্ণিত অনুশ্রুতি' গ্রন্থের             প্রথম খন্ডের বাণী " জনন - নীতি " সবাইকে আমার আন্তরিক জয়গুরু। সবার জন্য একটি সুন্দর ভবিষ্যতের প্রত্যাশা রইলো পরমপিতার রাতুল চরণে--- আজকের অংশবিশেষ শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র বর্ণিত 'অনুশ্রুতি' গ্রন্থের প্রথম খন্ড থেকে নেওয়া।             বিষয় : জনন-নীতি কৃষ্টিজাত সংস্কারের জৈবী সংগঠন সৃষ্টি করে রজোবীজের ধরন-ধারণ,   বিসদৃশ সম্মিলনে অসমত্বে ধায় সমত্বকে হারিয়ে ফেলে বিকৃতিতে পায়।১। মৃত্যুকালে যে-ভাব ধ'রে      ছেড়ে শরীর যায় জীবন, জন্মে আবার তেমনি স্থানে       ওই ভাবের পথ পায় যখন।২। অতিদৈহিক সত্তা জানিস       কাম-কামনার ভরে ঘন হ'য়ে শুক্রাণুতে       বীজ-শরীরটি ধরে, শুক্রাণুটি সঙ্গত তা'র       ডিম্বকোষে মেশে, কোষ-বিভাগে বেড়ে ওঠে      বৈশিষ্ট্যতে ভেসে।৩। এক নিষেকে রেত-শরীরী         অযুত জীবন ধায়, ডিম্বকোষটি যেমন ধরে         তেমনি শরীর পায়; জীবাণুটি লিঙ্গ-শরীর কামের পথে বীজেই স্থির, ভাবসঙ্গত ডিম্বকোষে       গিয়েই দেহধারে, স্ত্রীদেহেতে তা'র ফলেতে       ক্রমবিকাশে বাড়ে।৪। রজ-বীজে যা'-কিছু

শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র বর্ণিত অনুশ্রুতি' গ্রন্থের প্রথম খন্ডের বাণী 'দাম্পত্য জীবন'

  শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র বর্ণিত 'অনুশ্রুতি' গ্রন্থের প্রথম খন্ড থেকে নেওয়া বাণী  দাম্পত্য জীবন              বিষয় : দাম্পত্য জীবন।               বৈশিষ্ট্য উদ্দাম যেথা        অবাধ আদান, উদ্বুদ্ধ আদর্শানতি, স্ত্রী-পুরুষে একই রতি, ইষ্ট উদ্বোধনে করে      উভে আত্মদান; এমন স্থলেতে মূর্ত্ত      হয় ভগবান, অমরণ নীতি-পথে      করে আগুয়ান।১। সজীব যেমন যৌন-জীবন      সুন্দর সদাচারী, দীপ্ত কৃতী তেমনই সে-জন      আয়ুর অধিকারী।২। পতিপ্রাণা দক্ষা নারীর      সেবাসুন্দর তৃপ্তি-চলন, পুরুষ-বুকে দীপ্তি আনে       বৃদ্ধিতে দেয় উপঢৌকন।৩। তৃষ্ণাভরা তৃপ্তবুকে       স্বামীর প্রতি অনুরাগ, এমন নারীর সহবাসে        বর্দ্ধনা পায় পুণ্য ফাগ।৪। শতেক কাজের সমাধানেও       স্বামীচর্য্যায় হয় না বাধা, পতিপ্রাণা নারীজীবনে         দেখবি কেমন এইটি সাধা।৫। লক্ষ কাজে ব্যস্ত থেকেও      স্বামী সোহাগভরে কোন ফাঁকেতে সময় ক'রে       স্বামীর তোয়াজ করে, আলোচনায় সৎ কথাটি        উদ্দীপনী রতি, এমনি মেয়েই লভে নিশ্চয়        শ্রেষ্ঠ সুসন্ততি।৬। অযুত কাজের মাঝ থেকেও         আগ্রহেরই বলে উদ্দীপনী আবেগ নিয়ে         বুদ্ধি-সুকৌশলে, ফিক

শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র বর্ণিত অনুশ্রুতি' গ্রন্থের প্রথম খন্ডের বাণী "বিবাহ"

শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র বর্ণিত অনুশ্রুতি' গ্রন্থের প্রথম খন্ডের বাণী "বিবাহ" আজকের অংশবিশেষ শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র বর্ণিত 'অনুশ্রুতি' গ্রন্থের প্রথম খন্ড থেকে নেওয়া।         বিষয় : *বিবাহ*  ইষ্ট-স্বার্থপ্রতিষ্ঠা যা'র      পরিণয়ের মূলে, তা'রই বিয়ে সার্থক হয়      বংশ ওঠে দুলে'।১। বিয়ে-ব্যাপারে সবার আগে      বর্ণের হিসেব করিস, তা'র সাথেতেই বংশটিকে       বেশ খতিয়ে দেখিস; বংশ দেখে শ্রদ্ধা হ'লেই         স্বাস্থ্য দেখিস কেমন তা'র, তা'র সাথে তুই বাজিয়ে নিবি       স্বভাব-অভ্যাস-ব্যবহার; এ-সবগুলির সুসঙ্গতি        মিলেই যদি যায়, বিদ্যা দেখিস নজর ক'রে         কর্ম্মের ওজন তা'য়; পারম্পৰ্য্যে এইগুলি সব        মিলিয়ে দিলে বিয়ে, প্রায়ই দেখিস ঠকবি না তুই         মরবি না বিষিয়ে।২। সবাইকে জয়গুরু। যে-পুরুষে করলে বিয়ে        শ্রেষ্ঠ পানে ধাও, হৃদয় খুলে যা'র কাছেতে        দীপন পুষ্টি পাও, বংশে শ্রেষ্ঠ পিতৃতুল্য         কিংবা শ্রেষ্ঠতর, সেই পুরুষে করলে বরণ         হবে না ইতর।৩। ইষ্টানুগ নতি তুমি       যেথায় দেখতে পাবে, কর্ম্মকুশল দক্ষ-নিপুণ