https://www.purusattom.com/

শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র বর্ণিত অনুশ্রুতি' গ্রন্থের প্রথম খন্ডের বাণী 'দাম্পত্য জীবন'

  শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র বর্ণিত 'অনুশ্রুতি' গ্রন্থের প্রথম খন্ড থেকে নেওয়া বাণী  দাম্পত্য জীবন              বিষয় : দাম্পত্য জীবন।               বৈশিষ্ট্য উদ্দাম যেথা        অবাধ আদান, উদ্বুদ্ধ আদর্শানতি, স্ত্রী-পুরুষে একই রতি, ইষ্ট উদ্বোধনে করে      উভে আত্মদান; এমন স্থলেতে মূর্ত্ত      হয় ভগবান, অমরণ নীতি-পথে      করে আগুয়ান।১। সজীব যেমন যৌন-জীবন      সুন্দর সদাচারী, দীপ্ত কৃতী তেমনই সে-জন      আয়ুর অধিকারী।২। পতিপ্রাণা দক্ষা নারীর      সেবাসুন্দর তৃপ্তি-চলন, পুরুষ-বুকে দীপ্তি আনে       বৃদ্ধিতে দেয় উপঢৌকন।৩। তৃষ্ণাভরা তৃপ্তবুকে       স্বামীর প্রতি অনুরাগ, এমন নারীর সহবাসে        বর্দ্ধনা পায় পুণ্য ফাগ।৪। শতেক কাজের সমাধানেও       স্বামীচর্য্যায় হয় না বাধা, পতিপ্রাণা নারীজীবনে         দেখবি কেমন এইটি সাধা।৫। লক্ষ কাজে ব্যস্ত থেকেও      স্বামী সোহাগভরে কোন ফাঁকেতে সময় ক'রে       স্বামীর তোয়াজ করে, আলোচনায় সৎ কথাটি        উদ্দীপনী রতি, এমনি মেয়েই লভে নিশ্চয়        শ্রেষ্ঠ সুসন্ততি।৬। অযুত কাজের মাঝ থেকেও         আগ্রহেরই বলে উদ্দীপনী আবেগ নিয়ে         বুদ্ধি-সুকৌশলে, ফিক

গীতার বাণী/গীতার উপদেশ Lord shree Krishna quotes in bangla

                 গীতার বাণী/গীতার উপদেশ
         Lord shree Krishna quotes in bangla 
https://www.purusattom.com/2022/11/lord-shree-krishna-quotes-in-bangla.html
জয় শ্রী কৃষ্ণ


  কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে ভগবান শ্রী কৃষ্ণ অর্জুনকে বলা বানী গুলো হলো শ্রীমদ ভাগবত গীতা। ভাগবত গীতা হলো হিন্দু ধর্মের একটি মূল্যবান গ্রন্থ। ভগবান শ্রী কৃষ্ণ গীতায় বলা বানী গুলো কলিযুগের মনুষ্যদের জীবনধারার সংগে সম্পুর্ণ ভাবে মিলে যায়।যদি আমরা ভাগবত গীতার বাণী বা উপদেশ গুলো আমাদের জীবনে অনুসরণ করি তাহলে আমাদের জীবনে সফলতা কেউ আটকাতে পারবে না।গীতায় জীবনের সমস্ত সমস্যার সমাধান বর্ণনা করা হয়েছে।
     
       জীবনের উন্নতি জীবনকে সুনিয়ন্ত্রিত ও সুন্দর করে গড়ে তুলতে প্রতিমুহূর্তে আমাদের গীতার এই  উপদেশের কথা স্মরণ করা উচিত। গীতার এই উপদেশ বা বানী গুলো কী কী, তা একবার দেখে নেওয়া যাক…

     কুরুক্ষেত্রে ভগবান শ্রী কৃষ্ণ অর্জুনকে বলেছেন
 
১. জন্মের সময় খালি হাতেই এই সুন্দর পৃথিবীতে আগমন ঘটে সকলের। কোনও একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যকে কেন্দ্র করেই প্রতিটি মানুষ পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করে। সেই নির্দিষ্ট লক্ষ্যটাই জীবনে খুঁজে পাওয়া প্রথম উদ্দেশ্য।বিপুল অর্থ- সম্পত্তির প্রতি লোভ থাকা একেবারই উচিত নয়। কারণ যা আমরা সারাজীবন উপার্জন করি, তা নিজের জন্য চিরকাল স্থায়ী থাকে না।

২. জগতে যা কিছু আছে, হচ্ছে, তা সবটাই পরিবর্তনশীল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষ বদলে যায়,সমাজের উন্নতি হয়। আসল কথা হল, পরিবর্তনশীলতাই একমাত্র ধ্রুব সত্য। অন্যদিকে, প্রতিটি জড় ও জীবের নির্দিষ্ট জীবনচক্র থাকে। তা কোনও কিছুই স্থায়ী নয়। এটাও জীবনের মূল সত্য।

৩. পঞ্চভূত ( অগ্নি, জল, বায়ু, পৃথ্বী ও ব্যোম) নিয়েই আমাদের শরীর গঠিত। এর ক্ষয় আছে, কিন্তু শরীরের মধ্যে আত্মার কোনও ক্ষয় নেই। দেহের মৃত্যু হয়, কিন্তু অন্তরাত্মা নশ্বর , অমর। তাই আমাদের কর্মের মধ্যে দিয়েই আত্মার শান্তি মেলে।

৪. "সমুদ্র হোক বা সংসার, যে ধর্মের
নৌকা প্রস্তুতকরে সে ঠিকই পার হয়ে
যায়"।

৫."যে কেবল নিজের দুঃখকে আপন করে
জীবন কাটায় সে শক্তিহীন হয়ে
পড়ে। কিন্তু যে ব্যাক্তি সমগ্র সমাজের
দুঃখ আপন করে জীবন কাটায় সে
শক্তিশালী হয়ে ওঠে"।

৬."আমি কোন জড় বস্তু নই যে আমাকে
চাইলেই পাওয়া যাবে.!
কিন্তু যে ব্যাক্তি আমাকে তার
নিজের অধিকার বলে মনেকরেন..
আমি সয়ং নিজেকে তার অধিন বলেই
ভাবি..!!"

৭."কেউ আমার অতি আপন নয় কেউ আমার
পর নয়.কিন্তু যখন ধর্ম ও অধর্মের মাঝে যুদ্ধ
হয় তখন আমি স্বাভাবিক ভাবেই ধর্মের
পক্ষে অবস্থান করি।"

Comments

Popular posts from this blog